রাখাইনে সেনাবাহিনীর গোলায় ২ রোহিঙ্গা নারী নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট

রোহিঙ্গা গণহত্যা ও সু চি
ফাইল ছবি

মিয়ানমারে একজন গর্ভবতী নারীসহ দুই জন রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও আরও ৭ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির একজন সাংসদ ও একজন গ্রামবাসীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমারকে জরুরি ভিত্তিতে চার দফা অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়ার দুই দিনের মাথায়ই এই ঘটনা ঘটল।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং জনপদের সংসদ সদস্য মং কিউ জান বলেন, মধ্যরাতে নিকটবর্তী ব্যাটেলিয়ন থেকে ছোড়া গোলা কিন তায়ুং গ্রামে আঘাত হানে। কোনো যুদ্ধ ছাড়াই একটি গ্রামে কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে তারা, সেখানে কোনো লড়াই ছিল না।

তিনি আরও বলেন, সরকারি সেনারা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তিনি জানান, চলতি বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সেখানে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করা হলো।

এদিকে, এই ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। তবে দুই রোহিঙ্গা নারী নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করছে। বিদ্রোহীদের ওপর দোষ চাপিয়ে তারা জানায়, ভোররাতে বিদ্রোহীরা একটি সেতুতে আক্রমণ চালিয়েছিল। আরাকান আর্মির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আরাকান আর্মির গোলাই ওই গ্রামে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে তারা।

কিন তায়ুং গ্রাম থেকে মাইলখানেক দূরে বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা গ্রামবাসী জানান, গোলার বিস্ফোরণে দুটি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সো তুন ও নামের ওই ব্যক্তি ফোনে রয়টার্সকে জানান, মিলিটারিরা সব সময় ভারী অস্ত্র থেকে গোলাবর্ষণ করে। যে এলাকাকেই সন্দেহজনক মনে হয় সেখানেই ভারী অস্ত্রের গোলাবর্ষণ করে তারা। আমরা ভয়ে থাকলেও অন্য কোথাও পালিয়ে যাওয়া অসম্ভব।

ক্ষমতাসীন দলের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, মিয়ানমার এরই মধ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বেসামরিক সরকারের সামরিক বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সীমিত ক্ষমতা রয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে