পাবনার সাঁথিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার দুপুরে আটক ডাকাত দলের সদস্যদের পাবনায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
আটকরা হলো- বেড়া উপজেলার জোড়দহ গ্রামের সুজনের ছেলে রিফাত সর্দার (২১), একই গ্রামের রোশনাই সর্দারের ছেলে নজরুল ইসলাম (১৯) বাঙ্গাবাড়ি গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে সজিব (১৯), একই গ্রামের মৃত আ. খালেকের ছেলে শুভ (১৯), শানিলাশাহ পাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে শিমুল (১৯), টাংবাড়ী গ্রামের ফজলালের ছেলে বাপ্পি (২৫) ও মাষ্টিয়া গ্রামের সফি প্রামাণিকের ছেলে সুজন (২৬)।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে সাঁথিয়ায় ডাকাতি ও অপহরণ চক্রের সদস্যরা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির লোকজনকে জিম্মি করে ডাকাতি করতো এবং ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ আদায় করতো। তাদের কারণে অপহরণ ও ডাকাত আতঙ্কে ছিল এলাকাবাসী। তাদেরকে ধরতে মাঠে নামে পুলিশ। এরই ধারবাহিকতায় শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
এর আগেও ডাকাত দলের দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ নিয়ে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হলো। তবে তাদের মূলহোতা করমজা সরদার পাড়া গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে সুমন (২৩) এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, এর আগে ক্রসফায়ারে নিহত মূলহোতা ডাকাত সর্দার ওয়ালীউল্লাহর ডান হাত ছিল সুমন (২৩)। বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার হয়েছেন সুমন। তার নেতৃতেই সকল অপকর্ম চলছে। এর আগে দুজনকে আটকের পর থেকে সুমন গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিই তাকে আমরা আটক করবো। আটকদের শনিবার পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।