ব্রিটিশ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস ইরান সফরে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রীয় সফরে দেশটিতে সফরের আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ইরান সত্যিই অনন্যসাধারণ। বিশ্বের প্রায় সবকিছুতেই তাদের অনন্য অবদান রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের দৈনিক সানডে টাইমসকে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার স্বামী চার্লস একথা বলেন বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তবে সম্প্রতি ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগানের রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া নিয়ে রাজপরিবারের মধ্যে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি চার্লস।
এমন এক সময়ে ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের এই উত্তরাধিকারী ইরান সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যখন তেহরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের বেশকিছু দেশের সম্পর্কে চরম টানাপোড়েন চলছে।
সানডে টাইমসকে চার্লস বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমি ইরান যেতে চাই। আমি জানি শতকের পর শতক ধরে ইরান বিশ্বের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশ্বে জ্ঞান, সংস্কৃতি, কবিতা, শিল্প প্রায় সবকিছুতে ইরানিদের অনন্য অবদান রয়েছে। হ্যাঁ, আমি বলছি, ইরানিরা সত্যিই অনন্যসাধারণ।’
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তেহরান ইরান ও যুক্তরাজ্যের দ্বৈতনাগরিকত্ব রয়েছে এমন বেশ কয়েকজনকে আটক করে রেখেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম নাজনিন জাঘারি-র্যাটক্লিফ। ২০১৫ সালে কন্যাসহ ইরানে গ্রেপ্তার নাজনিনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনিসহ আটক দ্বৈত নাগরিকদের ছেড়ে দিতে বারবকার আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
- আরও পড়ুন >> পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আরও পড়ুন >> ইশরাকের প্রচারণায় বিএনপি-আ.লীগের সংঘর্ষ
সাক্ষাৎকারে চার্লস বলেন, ‘আমি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনে চেষ্টা করছি এবং শান্তির জন্য প্রার্থনা করে চলেছি। আমি বিশ্বাস করি, ন্যায় এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
ব্রিটিশ রাজপরিবার ঐতিহ্যগতভাবে রাজনীতির ঊর্ধ্বে থাকার নীতি মেনে চলে। তবে প্রিন্স চার্লস দীর্ঘদিন ধরেই আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও পরিবেশ ইস্যু নিয়ে কথা বলে আসছেন। প্রথা অনুযায়ী রাজসিংহাসনে বসা মাত্রই তিনি চার্চ অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হবেন।