ভারতের কেরালা, পাঞ্জাব ও রাজস্থান রাজ্যের পর এবার বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) প্রত্যাহারের দাবিতে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করেছে মমতার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে সিএএ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এনপিআর ও এনআরসি বাতিলের দাবিও জানানো হয়েছে।
বিধানসভায় পাস হওয়া ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় মুখমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধান ও মানবতার পরিপন্থী। আমরা অবিলম্বে এই আইনের বাতিল চাই। একইসঙ্গে আমরা জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন কার্যাক্রমও (এনপিআর) প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধী এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হলে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া-মার্ক্সবাদী (সিপিআই-এম) নেতৃত্বাধীন বামপন্থী দলগুলোর জোট উভয়ই প্রস্তাবটির পক্ষ সমর্থন করে।
তবে পশ্চিম বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিধায়করা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান তারা। ইতোমধ্যে কেরালা, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবে এমন প্রস্তাব পাস হয়েছে।
- লাহোরে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত
- করোনা ভাইরাসের বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যাওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য সম্প্রতি মোদি সরকার কয়েক যুগ পুরনো নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করলে ভারতে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়। তাতে অর্ধশতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। পশ্চিমবঙ্গের মমতা সরকার প্রথম থেকেই আইনটির বিরোধিতা করে আসছে।
এর আগে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এনআরসি তৈরির নামে বৈধ ভারতীয় নাগরিকদের হয়রান করা হচ্ছে। এ রাজ্যে (পশ্চিমবঙ্গে) কোনোভাবেই এনআরসি করতে দেয়া হবে না।