দুর্নীতির সর্বগ্রাসী অবস্থায় কোথাও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আশা করা বৃথা। তবুও আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে সকল নাগরিক ও ভোটার চান যে, নিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় থাকুক। নাগরিক এই ভাবনা, আমরা আশা করব যে, বাস্তবে ও কার্যত: বাস্তবায়িত হবে। যেহেতু ঢাকার সিটি কর্পোরেশন দুইটি রাজধানীর নাগরিকগণকে সেবা দিয়ে থাকে, সেহেতু, এই সিটি কর্পোরেশনদ্বয়ের গুরুত্ব অন্য যেকোন স্থানীয় সরকার কাঠামোর চেয়ে অধিক গুরুত্ববহ। তাই এই দুইটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে একাধিক্রমে তৃতীয়বারের মতো শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারের সময়ে সকল প্রকার নির্বাচনই প্রশ্নহীন নির্বাচন হবে তা সকলেরই কাম্য। আশা করব যে, প্রশ্নহীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল আয়োজন নির্বাচন কমিশন করবে। এমন নির্বাচন নিশ্চয়ই সরকারও চাইবে না যে, নির্বাচনের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে বৈধতাও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিঃসন্দেহে নির্বাচনের গুরুত্ব সর্বাধিক।
অতএব, আমরা আশা করব যে, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দুইটির নির্বাচনে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে এটাই জনপ্রত্যাশা। আশা করা যায় যে, জন প্রত্যাশার ব্যত্যয় কিছু ঘটবে না।