চীনে ছড়িয়ে পড়া নোবেল করোনা ভাইরাস কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশে আসতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
করোনা ভাইরাস নিয়ে মন্ত্রিসভায় কোনো আলোচনা কিংবা প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আরও সতর্ক থাকতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে। চীন হয়ে যারা আসছেন, তাদেরও বিশেষভাবে দেখাশোনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, সবাইকে কেয়ারফুল থাকতে হবে। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট এবং পোর্টে (বন্দর) স্পেশাল কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে আমাদের মধ্যে বিস্তার না করতে পারে। চীন বা হংকং থেকে যেসব প্লেন আসবে সেগুলোতে বিশেষ নজর রাখতে হবে। চীনের সাথে সরাসরি যোগাযোগ হয় এমন পোর্টে বিশেষ নজর রাখতে হবে।
এদিকে চীনে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
ওই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে অনতিবিলম্বে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহরে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। এরপর এ ভাইরাস চীনের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনা কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।
চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া আরও দুই হাজার ৭৪৪ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
চীনের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এ ভাইরাসে আক্রান্ত তিন শতাধিক মানুষ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চীনের হুবেই প্রদেশে ৫০ হাজারের বেশি মেডিকেল স্টাফ এ ভাইরাস প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় অংশ নিয়েছেন।