ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণার জন্য প্রথম ১২ দিনে প্রায় ২৫০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছে। প্রতিযোগী প্রার্থীরা তাদের পোস্টার, লিফলেট এবং কর্মীদের পরিচয়পত্রের জন্য এসব প্লাস্টিক ব্যবহার করেছেন। এর ফলে রাজধানী ঢাকার পরিবেশ হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদীরা।
মঙ্গলবার পরিবেশ বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা এসডো গবেষণার ভিত্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এসডো’র মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ঢাকা শহরের ৪৮টি প্রেস এবং প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্টদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্লাস্টিক দূষণের এই ভয়াবহ চিত্র দেখেছেন।
শাহরিয়ার হোসেন বলেন, প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থীদের প্রত্যেকে গড়ে ৩০ লাখের বেশি প্লাস্টিকে মোড়ানো পোস্টার টাঙিয়েছেন।
তিনি জানান, এ বছর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মেয়র এবং কাউন্সিলর আনুমানিক ৩০ কোটি লেমিনেটেড পোস্টার টাঙিয়েছে।
শাহরিয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয় – নির্বাচনী প্রচারণায় ২৫০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদনের বিষয়টি তারা কীভাবে নিশ্চিত হয়েছেন?
তিনি বলেন, আমরা কিছু পোস্টার থেকে কাগজ আলাদা করে শুধু প্লাস্টিকের কভারটি মেপে দেখছি। সেখানে দেখা গেছে, একটি পোস্টারের জন্য দুই গ্রাম প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়েছে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার ছাপা এবং প্রদর্শন বন্ধের জন্য গত ২২ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হয়নি বলে মনে করছেন পরিবেশবাদীরা। প্রার্থীদের পক্ষে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, তারা বিষয়টি খুব একটা আমলে নেয়নি।
কুয়াশা এবং সম্ভাব্য বৃষ্টি থেকে কাগজের পোস্টারকে রক্ষা করার জন্যই অনেক জায়গায় প্লাস্টিকে মোড়ানো হয়েছে।
এসডো’র শাহরিয়ার হোসেন বলেন, কয়েকদিন পরে যারা দায়িত্ব নেবেন তারাও জানেন না যে এটা কতটা ভয়াবহ হবে। এটা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।
তিনি আশঙ্কা করেন, নির্বাচনের পর এসব পোস্টারের দায়িত্ব কেউ নেবে না। শেষ পর্যন্ত শহরের ড্রেন, নালা এবং নর্দমায় এসব প্লাস্টিকের স্থান হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
সূত্র : বিবিসি বাংলা