চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ এবং বের হওয়ার মূল পথ যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ। তবে এ দুই বিভাগ থেকে রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হতে বিকল্প পথ সৃষ্টিতে প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিকল্প পথ হিসেবে হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক (চিটাগাং রোড মোড় এবং তারাব লিংক মহাসড়ক) চার লেনে উন্নীত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার বর্তমান সরকারের ২৭তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রকল্পের নাম ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিক হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য সহায়ক।’
এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। এতে মোট খরচ হবে এক হাজার ২০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
যৌক্তিকতায় বলা হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর তেজগাঁও, রামপুরা, হাতিরঝিল, গুলশান, বাড্ডা অঞ্চলের মানুষ অল্প সময়ে ঢাকা থেকে সিলেট মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাতায়াত করতে পারবে। এ ছাড়া মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহার না করেও রাজধানীর অভ্যন্তরে স্বল্প সময়ে প্রবেশ করতে পারবে।
সওজ বলছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সব যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ ও বের হওয়ার মূল পথ যাত্রাবাড়ী এবং সায়েদাবাদ। যানজট নিরসনে বিকল্প পথ তৈরির জন্য রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা-চিটাগাং রোড পিপিপি ভিত্তিতে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। সড়কটি ঢাকা শহরের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক নেটওয়ার্ক জাতীয় মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম (এন-১) এবং ঢাকা-সিলেএট (এন-২) যুক্ত করবে।
- ‘আমরা চীনে বাংলাদেশিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি’
- করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অবশ্যই আইসোলেটেড থাকতে হবে
ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট–এ দুটি জাতীয় সড়ক করিডোরের ক্রমবর্ধমান পরিবহন চাহিদা মেটানো এবং ঢাকা শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার নতুন বিকল্প সৃষ্টির জন্য প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের জন্য পিপিপি প্রকল্প প্রহণ করা হয়েছে বলেও যৌক্তিকতায় উল্লেখ করা হয়।