দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের সুদৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরতে গিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন বলেছেন– কালো চশমা পরো, আর আমার মোবাইল নম্বর রাখো। যেই দুর্নীতি করুক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পরে সিটি কর্পোরেশনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাই। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ওয়েলডান বলে সামনে এগিয়ে যেতে বলেন। এটিই শেখ হাসিনার দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় শফিকুর রহমান এমপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্তসহ সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিএনসিসির ওই কর্মকর্তার চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে সাবেক মেয়র আতিক বলেন, আমি একদিন সিটি কর্পোরেশনের সভায় বলেছিলাম– হোল্ডিং ট্যাক্স মানুষ বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমেই দিতে পারবেন। কিন্তু ওই কর্মকর্তা বলেছিলেন– ‘স্যার তা সম্ভব নয়।’ তখনই আমার সন্দেহ জাগে। আমি তার ফাইল খুঁজে বের করি। জানতে পারি, তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। আমি খবর নিয়ে জানতে পারি, ঢাকায় তার ৮-১০টি বাড়ি আছে। পরে তার ফাইল দেখে জানতে পারি আয়ের উৎস। হোল্ডিং ট্যাক্সের যে টাকা আসে, অর্ধেক টাকা নিজের পকেটে নিয়ে বাকি অর্ধেক সরকারি কোষাগারে দিতেন তিনি। আমি তাকে চাকরিচ্যুত করতে চাইলে অনেকে বলেন– ‘স্যার এটি আপনি পারবেন না।’ তখন বলেছি– আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।
মেয়র আতিক বলেন, তাকে চাকরিচ্যুত করে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাই। তিনি সাধুবাদ জানান।
- ‘আমরা চীনে বাংলাদেশিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি’
- করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের অবশ্যই আইসোলেটেড থাকতে হবে
মেয়র থাকাকালে নিজের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আট দিনের মাথায় এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড হয়। এর কিছু দিন পর ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করে। এই মহামারী ঠেকাতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি।
সিটি নির্বাচনে সব ভোটারের ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটার যত বেশি আসবেন, তত বেশি ব্যবধানে নৌকার জয় হবে।