আলজেরিয়ার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আখদার ইব্রাহিমি বলেছেন, শান্তি পরিকল্পনার মধ্যে যে ধরন দেখা যাচ্ছে, তা সত্যিকার অর্থে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জন্য সাজানো হয়েছে। শিগগিরই তিনি নির্বাচনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। আবার দুর্নীতির অভিযোগে তার বিচারও চলছে।
সৌদি আরবের ইংরেজি দৈনিক আরব নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইব্রাহিমি বলেন, এই শান্তি পরিকল্পনা ইসরাইলের পাশাপাশি মার্কিন নির্বাচনের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিশংসনের বিচারের মুখোমুখি।
অর্থাৎ ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু দুজনেই এখন বিচারের মুখোমুখি জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে অভিশংসন যেমন সত্য, তেমনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীও কারাগারে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছেন।
শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করতে যখন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন, তখন দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার নেতানিয়াহুকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ঘুষগ্রহণ, তছরুফ ও আস্থাভঙ্গের তিনটি গুরুতরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আলজেরিয়ার সাবেক এই মন্ত্রীর মতে, এই শান্তি পরিকল্পনার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির কোনো সম্পর্ক নেই।
- আ’লীগের সন্ত্রাসীরা মহল্লায় মহল্লায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে: ফখরুল
- দশম সংসদের তুলনায় প্রথম বছরে কম কার্যদিবস
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিরা মারাত্মক সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। গত ৭০ বছর ধরে তারা দখলদারিত্বের মধ্যে রয়েছেন। নিয়মিত তাদের অপমানিত করা হচ্ছে। সবক্ষেত্রে তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। ঔপনিবেশিক শাসনে যারা বসবাস করেছেন, তারা এই পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবেন। আলজেরিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটেছে।
শান্তির জন্য কাজ করা বিশ্বনেতাদের সংগঠন দ্য এলডারসের এই সদস্য বলেন, শতাব্দীর এই সেরা চুক্তিতে ফিলিস্তিনিদের আধামানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে কিংবা তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই।