পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তাদের (কূটনীতিকরা) নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে আমাদের ডমেস্টিক ইস্যুতে (সিটি করপোরেশন নির্বাচন) নাক গলাচ্ছে। এটা উচিত নয়। কূটনীতিকরা কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ করবেন বলে আশা করি। তবে যারা কোড অব কান্ডাক্ট মানবেন না তাদের বলবো দেশ থেকে চলে যান।
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে কূটনীতিকরা বৃটিশ হাইকমিশনে মিলিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’ এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ আশা ব্যক্ত করে মার্কিন দূতাবাস।
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুল মোমেন বলেন, এ নির্বাচন হবে আদর্শ নির্বাচন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে।
এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গিয়ে দূতাবাস কর্মকর্তারা যেন তাদের কর্মপরিধির সীমা লঙ্ঘন না করেন- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ইসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার নিজ কার্যালয়ে তার সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে সিইসি ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার ও কবিতা খানমসহ ইসির অন্য কর্মকর্তারা।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সানজিদা খানম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশে পর্যবেক্ষণে অনেক রকম বিধি-নিষেধ থাকে। অনেক নিয়মকানুন মানতে হয়। আমাদের দেশে অনেক সময় অনেকে অনেক কথা বলে ফেলেন, যেগুলো আমাদের সার্বভৌমত্বকে কটাক্ষ করার শামিল। আজকের বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশ নেই। গণতন্ত্র সুসংহত, উন্নত বাংলাদেশ। আমরা কোন উচ্চতায় চলে গেছি সেটা গতকালের (বুধবার) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনলেই বোঝা যাবে।
তিনি বলেন, তারা যেন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আন্তর্জাতিক বিধি-বিধান মেনে চলেন। কোনো বিশেষ দেশের কেউ যেন বেশি মাতব্বরি না করেন। আমরা চাই, তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। এবং সেটা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কোড অব কন্ডাক্ট মেনে।