‘জাতিসংঘে ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনার কড়া জবাব দেব’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, দুই সপ্তাহ পর জাতিসংঘের অধিবেশনে ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনার কড়া জবাব দেব। জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের দূত রিয়াদ মনসুর বুধবার নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।খবর আনাদোলুর।

ফিলিস্তিনিদের প্রবল বিরোধিতা উপেক্ষা করে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট সমাধানের লক্ষ্যে কথিত শান্তি পরিকল্পনা ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ উপস্থাপন করেছেন।

হোয়াইট হাউসে তিনি মঙ্গলবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে তার একপেশে এই আপস প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।

তথাকথিত এ মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছাড়া তিনি কখনই এ পরিকল্পনা মানবেন না।

মঙ্গলবার ওই একপেশে পরিকল্পনার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মার্কিন-ইহুদিবাদী এই পরিকল্পনায় ঐতিহাসিক জেরুজালেম আল-কুদস শহরকে ইসরাইলি ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

এ ছাড়া জর্দান নদীর পশ্চিমতীরের অবশিষ্ট অংশ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি দুর্বল ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে।

মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ ট্রাম্পের এই একতরফা বা বর্ণবাদী পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আরও বলেছেন, আমি হাজারবার বলেছি– এ পরিকল্পনা মানি না, মানি না, মানি না।

কথিত ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি উপস্থাপনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে টেলিফোন করলেও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, যে পরিকল্পনায় জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা নেই, সে পরিকল্পনা তিনি মেনে নেবেন না।

৮৪ বছর বয়সী এ ফিলিস্তিনি নেতা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে একজন ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে পরিচিত হয়ে তিনি কবরে যেতে চান না। জেরুজালেম বিক্রি করার জিনিস না। পবিত্র এ ভূমি ছাড়া কোনোভাবেই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন হতে পারে না।

ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিন ও জর্ডানে কয়েকটি শহরে এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধ লোকজন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে