টানা দুটি ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে এবং ভারতের কাছে দুই ম্যাচেই হারল স্বাগতিক কিউইরা। এবার ওয়েলিংটনে নির্ধারিত ওভারে জয়ের জন্য ১৬৬ রান তুলতে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। স্কোর হয়ে গিয়েছিল টাই (১৬৫)। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সেই সুপার ওভারে গিয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রান করেও জিততে পারল না কিউইরা। দুই ব্যাটসম্যান লোকেশ রাহুল এবং রিবাট কোহলি মিলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ভারতকে। যদিও মানিস পান্ডে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু স্ট্রাইকে আসতে হয়নি তাকে আর।
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। দুই ব্যাটসম্যান হলেন টিম সেইফার্ট এবং কলিন মুনরো। মার্টিন গাপটিল অনেকটা ইচ্ছা করেই সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামেননি। ভারতের হয়ে বোলিং করতে আসেন, ডেথ বোলার হিসেবে খ্যাত জসপ্রিত বুমরাহ।
তাকে মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে এক উইকেট হারিয়ে ১৩ রান যোগ করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। টিম সেইফার্ট প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন। কিন্তু মিডউইকেটে স্রেয়াশ আয়ার দৌড়ে গিয়েও ক্যাচটা ধরতে পারলেন না। রান উঠে যায় দুটি।
পরের বলেই বুমরাহকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন সেইফার্ট। চার রান। পরের বলে আবারও ক্যাচ ওঠে। এবার ভারতের উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্ত তার ক্যাচ ফেলে দেন। এবারও রান আসলো দুটি। পরের বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সেইফার্ট।
স্ট্রাইকে আসেন কলিন মুনরো। এসেই বাউন্ডারি মেরে দেন তিনি। শেষ বলে ক্যাচের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ১ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় মুনরোকে।
জবাব দিতে নামেন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল। আগের ম্যাচে সুপার ওভারের শেষ দুই বলে ছক্কা মেরে ভারতকে জেতানো রোহিত শর্মাকে বিশ্রাম দেয়ার কারণে এবার সুপার ওভারে ব্যাট করতে আসেন বিরাট কোহলি। নিউচিল্যান্ডের বোলার টিম সাউদি।
- নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা ছিল, এটি কোনো দিন দেখিনি: সিইসি
- করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা বলছে চীন
শুরুতেই সাউদিকে ছক্কা মেরে দেন লোকেশ রাহুল। এরপরের বলেও বাউন্ডারি মেরে দেন রাহুল। দুই বল থেকেই চলে আসলো ১০ রান। বাকি চার বলে প্রয়োজন মাত্র ৪ রান। কিন্তু তৃতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আর পারলেন না। ধরা পড়লেন ডিপ মিড উইকেটে স্কট কুগেলিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
পরের বলেই ২ রান নিয়ে নেন বিরাট কোহলি। ওভারের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মেরে ভারতকে জয় এনে দেন বিরাট কোহলি। সিরিজে এ নিয়ে চার ম্যাচের সব ক’টিতেই হারল নিউজিল্যান্ড। আর সাত মাসের ব্যবধানে সুপার ওভারে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পরাজয়ের স্বাদ নিল কিউইরা।