ফের অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার

মত ও পথ প্রতিবেদক

পেঁয়াজ
ফাইল ছবি

ঢাকা সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যান চলাচলে নিষেধজ্ঞার কারণে ঢাকায় পেঁয়াজ আসতে পারছে না। আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বেশি। ব্যবসায়ীদের এমন অযৌক্তিক যুক্তির মুখে আবারও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দেড়শো টাকায়। বেড়েছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দামও।

universel cardiac hospital

ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হলেও শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকা দরে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বাদ যায়নি আমদানিকৃত পেঁয়াজও। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১০ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সিটি নির্বাচনের জন্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় পেঁয়াজের বাজার বেড়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবিকে খোঁড়া যুক্তি হিসেবে দেখছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ একটু অজুহাত পেলেই ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দেন।

তাদের মতে দুএকদিনের নিষেধাজ্ঞায় তেমন প্রভাব পড়ার কথা নয়। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দাম বাড়ায়। এজন্য বাজার মনিটরিংয়ে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান ক্রেতারা।

এর আগে ব্যবসায়ীদের কারসাহির মুখে ৩০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল এক কেজি পেঁয়াজ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করে সরকার। ফলে দাম কিছুটা কমে আসে। সে অবস্থা কাটতে না কাটতে আবারও দাম বাড়ে। কয়েক সপ্তাহ পর সে দামের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে