ঢাকা সিটি নির্বাচন : প্রস্তুত ২৮ হাজার ৮৭৮ ইভিএম

মত ও পথ প্রতিবেদক

কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ঢাকার রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শুক্রবার তোলা
কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ঢাকার রেসিডিন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে শুক্রবার তোলা। ছবি : সংগৃহিত

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আগামীকাল শনিবার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য ২৮ হাজার ৮৭৮টি  ইভিএম সেট প্রস্তুত হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ইতিমধ্যে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম।

শুক্রবার বিকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এনআইডির মহাপরিচালক বলেন, আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। আমরা একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে বদ্ধ পরিকর।  ইতিমধ্যে দুই হাজার ৪৬৮টি ভোটকেন্দ্রে ১৪ হাজার ৪৩৬টি ভোটকক্ষ পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ শেষ করেছি। পরীক্ষামূলক বা মক ভোটিংয়ের জন্য ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে।  নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৪৫ হাজার ৭৭০ জন প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও  প্রত্যেক কেন্দ্রে দুজন করে পাঁচ হাজার ১৫ জন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিমান বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। তারা টেকনিক্যাল বিষয়টি দেখবেন। তবে আইন-শৃঙ্খলার কোনো কাজে অংশ নেবেন না। সেনা ছাউনি থেকে তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে যাবেন। আবার সেখান থেকে তারা সরাসরি সেনা ছাউনিতে চলে যাবেন।

সাইদুল ইসলাম বলেন, আজ রাত ১১টা পর্যন্ত  ১৭ বা ১৩ ডিজিটের এনআইডি নম্বর ১০৫ নম্বরে এসএমএস করে যেকোনো ভোটার কোন কেন্দ্রের ভোটার তা জানতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী থাকবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার কিংবা সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কোনো ভোট দিতে পারবেন না। তবে তারা ভোট পরিচালনা করবেন। বিভিন্ন কারণে কারো ফিঙ্গার প্রিন্ট না মিললে তারা ১ শতাংশ পর্যন্ত ভোট দিতে সহায়তা করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

এনআইডির মহাপরিচালক বলেন, কেউ অবৈধভাবে ভোট বা ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে তাকে শনাক্ত করে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সকল পোলিং এজেন্টের উপস্থিতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফলের প্রিন্ট কপি প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টের কাছে দেয়া হবে।  প্রত্যেক কেন্দ্র থেকেই ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরে কেন্দ্র থেকে সেই ফলাফল রিটার্নিং করর্কতার কাছে পাঠানো হবে।

মহাপরিচালক বলেন, আমরা আশা করছি ভোট শেষ হওয়ার ৩০ (সাড়ে ৪টা) মিনিটের মধ্যেই ফলাফল কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে। কেন্দ্র থেকে ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে যদি ফলাফল প্রকাশ করতে দেরি হয় তাহলে আমাদের করার কিছু নেই। এটা ইভিএমের দোষ না।

তিনি বলেন, একজনের ভোটারের ভোট দিতে ৪০ সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ এক মিনিট লাগার কথা। এবার নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতিতে বাড়বে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে