‘ইভিএম ব্যবহার করে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে- নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তি করার সুযোগ ছিল না। এছাড়া কোনো কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েনি। রাতে ব্যালট পেপারে বাক্সভর্তি ও কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ার অপবাদ থেকে আমরা মুক্ত।’-বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এই ১২টি কেন্দ্রে আমি সরকারি দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ছাড়া আর কোনো মেয়রপ্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ‘আমার কথা’ শিরোনামে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করলেও বরাবরের মতো সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, কয়েকজন সাংবাদিক নির্বাচনের পরিবেশের কথা আমার কাছে জানতে চেয়েছেন। আমি তাদের বলেছি নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তারা আমার চেয়ে বেশি অবহিত। কারণ তারা নিজের চোখে সব দেখেছেন।
তিনি বলেন, আমি মগবাজারে ইস্পাহানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টায় ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রের সাংবাদিকরা আমাকে জানান- সকালে বিরোধী দলের মেয়রের এজেন্ট ছিলেন। তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। এছাড়া আনারস প্রতীকের নারী কাউন্সিলর প্রার্থী আমাকে জানিয়েছেন- তার এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছি।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, আমি সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত মোট ১২টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি। এই ১২টি কেন্দ্রে আমি সরকারি দল সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ছাড়া আর কোনো মেয়রপ্রার্থীর এজেন্ট দেখতে পাইনি। সকাল ৮টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ১০ শতাংশ ভোটে পড়ে। নির্বাচনে তফসিল ঘােষণার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যে দৃশ্য দেখা গেছে, তাতে আমি মর্মাহত। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আচরণবিধি থাকা না থাকায় কোনো পার্থক্য থাকে না।
তিনি বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ শতাংশের নিচে ভোট পড়েছে। তাতে কি ফলাফলে কিছু আসে যায়? নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া কোনো মারামারি বা রক্তক্ষয় হয়নি। ভোটের মাঠে একপক্ষ ব্যতীত অন্য পক্ষগুলোকে দেখা যায়নি। ভোটের মাঠে অন্যপক্ষগুলোর অনুপস্থিতির কারণ আমার কাছে অজ্ঞাত।