সকাল ৮টায় শুরু হলো ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী পরিবেশ নির্বিঘ্ন যেন না হয় সেজন্য নগরীজুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা রাজধানীজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ভোটে কোথাও কেউ যেন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সেজন্য পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নজরদারি করছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশ ও র্যাবও। পাশাপাশি রয়েছে বিজিবির সদস্যরাও।
এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুলিশের সোয়াট দল, র্যাবের কমান্ডো সদস্য, দুই সংস্থারই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াডসহ আর্মাড কার।
পুলিশ জানায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব, আনসার বাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
নির্বাচন ঘিরে যেকোনো অপতৎপরতা এড়াতে বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামিরাসহ নজরদারিতে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ড। রাজধানীর ভোটার ছাড়া বহিরাগতদের তৎপরতার বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এছাড়া, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সাইবার ক্রাইম টিমের মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
ভোটের একদিন আগে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, নগরবাসী যাতে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই মনিটরিংয়ে রাখবো। যেসব নির্বাচনি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি রয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপকর্মের দুঃসাহস কেউ দেখাবেন না। আমরা এটা প্রত্যাশা করি না। যদি করেন, তবে অবশ্যই ইলেক্টোরাল ল’ এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন ঘিরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। একমাস ধরে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চলছে। একটি-দুটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কোনও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়নি। আমরা প্রত্যাশা করছি, যেসব রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তাদের প্রার্থীরা যদি সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখেন, তাহলে আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে কথা দিতে পারি, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি প্রস্তুত।
জানা গেছে, ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্ট্রইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবির ৬৫ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটের আগে ও পরে মোট চার দিন দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি সদস্যরা। এ ছাড়া বিজিবির ১০ প্লাটুন রিজার্ভ থাকবে নির্বাচন উপলক্ষে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায়।