ব্র্যাডম্যানকে স্পর্শ করে ‘৩৩৪’ সংখ্যাটা স্পেশাল করে দিলেন তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তামিম ইকবাল

১৩ বছর পর বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট দেখল ট্রিপল সেঞ্চুরি। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে সিলেটের হয়ে অপরাজিত ৩১৩* রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাতীয় দল থেকে বহু আগেই বাদ পড়া রকিবুল হাসান। এতদিন এটাই ছিল বিসিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। অবশেষে দ্বিতীয় ট্রিপল দেখল বাংলাদেশের ক্রিকেট। শুধু ট্রিপলই নয়, তামিম গড়েছেন সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড। স্পর্শ করেছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে।

প্রায় পাঁচ সেশন ধরে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করা তামিমের ৪২৬ বলে অপরাজিত ৩৩৪* রানের মধ্যে ৩ ছক্কা ও ৪২টি চার। রীতিমতো ‘তামিমীয়’ ইনিংস বলতে যা বোঝায় সেটাই হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের মাটিতে এটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও।সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তামিমের স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। সেসব সমালোচনার জবাবও যেন দিয়ে দিলেন দেশসেরা ওপেনার। রকিবুল হাসানের ৩১৩* ছাপিয়ে যাওয়া ইনিংসে তামিমের স্ট্রাইকরেট ৭৮.৪০।

universel cardiac hospital

এই ইনিংস খেলতে গিয়ে একদিক দিয়ে তামিম স্পর্শ করেছেন ব্যাটসম্যানদের ‘ঈশ্বর’ স্যার ডন ব্র্যাডম্যানকে। ১৯৩০ সালে হেডিংলিতে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নেন এই সাবেক অজি কিংবদন্তি। তার ইনিংসটাও ছিল ঠিক ৩৩৪ রানের। ৫৮ বছর পর পেশোয়ার টেস্টে ব্র্যাডম্যানের সেই ইনিংসকে সম্মান জানিয়ে ৩৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যান মার্ক টেলর। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্যও ৩৩৪ সংখ্যাটা স্পেশাল করে দিলেন তামিম।

একনজরে তামিম ইকবালের ৩০০

পঞ্চাশ রান – ৭৬ বল, ১০৫ মিনিট, ৭ চার
একশ রান – ১২৬ বল, ১৭১ মিনিট ১৪ চার
দেড়শ রান – ১৮০ বল, ২৪৫ মিনিট, ২১ চার
দুইশ রান – ২৪২ বল, ৩০২ মিনিট, ২৯ চার
আড়াইশ রান – ৩১৫ বল, ৪৪৯ মিনিট, ৩৪ চার
তিনশ রান – ৪০৭ বল, ৫৬০ মিনিট, ৪০ চার

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস

১. তামিম ইকবাল – ৩৩৪* রান (২০১৯-২০)
২. রকিবুল হাসান – ৩১৩* রান (২০০৬-০৭)
৩. নাসির হোসেন – ২৯৫ রান (২০১৭-১৮)
৪. মার্শাল আইয়্যুব – ২৮৯ রান (২০১২-১৩)
৫. মোসাদ্দেক হোসেন – ২৮২ রান (২০১৪-১৫)

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে