করোনাভাইরাসের কারণে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বিমান পরিবহন ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
আজ সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনে বসবাসরত মানুষের মাঝে রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় উহান শহরটিকে অবরুদ্ধ করে দেয় চীন। পরিপ্রেক্ষিতে, চীনের হুবেই প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী সেখানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে, আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চীনে বিশেষ বিমান পাঠানো হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ‘রেসকিউ ফেরি ফ্লাইট বিজি-৭০০২’ শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
করোনাভাইরাস সংক্রামক হওয়া এবং তাতে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ দেখা দিতে ১৪ দিন প্রয়োজন হয়। সেই কারণে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ম মন্ত্রণালয় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে চীনের উহান থেকে ফেরত ৩১২ জন বাংলাদেশির আবাসনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বর্তমানে তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই ৩১২ জন বাংলাদেশির সার্বক্ষণিক যত্ন নিচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু নিয়মিত সরবরাহ করাসহ বিনোদনের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। সরকার কর্তৃক নিযুক্ত চিকিৎসকরা তাদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন।
- পরীক্ষার্থীদের উত্তর সরবরাহের দায়ে ৫ শিক্ষককে কারাদণ্ড
- চীনে যাওয়া বাংলাদেশি পাইলট-ক্রুদের ঢুকতে দিচ্ছে না অন্যদেশ
এদিকে চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬১ জনে। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার যারা মারা গেছেন তাদের ৫৬ জনই ভাইরাসটির উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ জন। মোট ১৭ হাজার ২০৫ জন এখন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত।