ভুল প্রশ্নপত্রে ৩০ মিনিট পরীক্ষা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

পরীক্ষার্থী
ফাইল ছবি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের উদাসিনতায় আজ সোমবার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মান উন্নয়নের জন্য বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষায় ২০১৮ সালের সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি হলে কর্তব্যরত শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতার কারণে ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের সিলেবাসের নৈব্যত্তিক ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।

প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি নজরে এলে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন তুলে নিয়ে নতুন করে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।

এ ঘটনায় পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করে এক অভিভাবক বলেন, এমন ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে এবং সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ ব্যহত হয়েছে।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দায়িত্বরত কেন্দ্র সচিব রুমিলা ইয়াসমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে জানান, ভুলক্রমে ২০২০ সালের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়েছিল। তবে প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর বিষয়টি নজরে এলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে পরীক্ষার্থীদের মাঝে নতুন করে ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশক্রমে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাম কৃষ্ঞ বর্মন জানান, ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে ১৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ভুলপ্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। ওইসব শিক্ষার্থীদের ফলাফলে যাতে বিপর্যয় না হয় এ কারণে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় প্রদান করা হয়। এছাড়া ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদের সর্তক করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে