প্রাথমিকে দুই জেলার নিয়োগপত্র স্থগিত

আদালত প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট। ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লক্ষ্মীপুর ও ফরিদপুর জেলার নিয়োগপত্র স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দেশের আটটি জেলার নিয়োগ কার্যক্রমও আগামী ছয় মাসের মাসের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত।

আজ সোমবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি শেখ মো. হাসান আরিফ ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।   

এ পর্যন্ত নিয়োগ কার্ক্রম স্থগিতকৃত আটটি জেলা হলো- নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ।

কিশোরগঞ্জের আবেদনকারীরা হলেন, শিল্পী রানী দাস, জয়বালা রানী, তাসরিফা আকতার ঐশী, নুরুন্নাহার বেগম, সালমা আক্তার, রাজিয়া আক্তার, বাসন্তী রানী দাস, রিমা রানী চৌধুরী, অনামিকাসহ ১৪ জন।

নাটোর, পাবনা, গাইবান্ধা, লক্ষ্মীপুর, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলার পরীক্ষার্থী শারমিন সুলতানা, জান্নাতুল ফেরদৌস, বিলকিস খাতুন, শিউলি আক্তার, হুজাইফা আক্তার, ফারজানা জান্নাত, আফরিন নাহারসহ ৪৬ জন নিয়োগ স্থগিত চেয়ে রিট করেন। এদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন।

আইনজীবী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে হবে। এই নীতিমালা লঙ্ঘন করায় আদালতে রিট করা হয়।

আসাদ উদ্দিন আরও বলেন, আমরা জানতে পারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েকটি জেলার উত্তীর্ণদের মধ্যে নিয়োগপত্র পাঠানো শুরু করেছে। এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে