হতাশা কাটিয়ে চাঙা উহানফেরত ৩১২ বাংলাদেশি

মত ও পথ প্রতিবেদক

উহানফেরতদের একাংশ
ছবি : সংগৃহিত

হতাশা কাটিয়ে উঠেছেন চীনের উহানফেরত ৩১২ বাংলাদেশি। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবীর সঙ্গে ফেসবুকে চ্যাটিং, ভিডিও কলে কথাবার্তা ও টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখে এখন বেশ ভালোই সময় কাটছে তাদের।

সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার তাদের জন্য বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে টেলিভিশন সরবরাহ করা হয়েছে।

universel cardiac hospital

জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি না পাওয়ায় বেশ খোশমেজাজে সময় কাটাচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকাদের মধ্যে সাতজন আশকোনা হজ ক্যাম্পে ফিরে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটে গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান প্রদেশ থেকে মোট ৩১২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩০২ জনকে রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইন করে রাখতে পাঠানো হয়। বাকি ১০ জনের ৭ জনকে কুর্মিটোলা হাসপাতাল ও তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।

১ ফেব্রুয়ারির দেশে ফিরে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য হজক্যাম্পে এসে আবদ্ধ পরিবেশ, গণরুমে থাকার ব্যবস্থা, টয়লেটের অপ্রতুলতা ও মশার কামড়সহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন।

ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করা শুরু হলে হতাশা কাটতে থাকে।এরমধ্যে তাদের জন্য কাপড়চোপড় ধৌত করার জন্য ওয়াশিং মেশিন কেনা হয়। টয়লেটে টাওয়েল, টুথপেস্ট টুথব্রাশসহ নিত্যব্যবহার্য দ্রব্যাদি এবং শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় শিশুখাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে আশকোনা হজ ক্যাম্প আত্মীয়-স্বজনকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আত্মীয়-স্বজন এসে গেটে প্রয়োজনীয় পোশাকাদি ও খাবার দিয়ে যেতে পারছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে