আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হয়েছে মুজিব বর্ষের প্রথম বই‘কৃষি ও কৃষকের বঙ্গবন্ধু’। বইটি লিখেছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘কৃষি ও কৃষকের বঙ্গবন্ধু’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কৃষি দর্শনের কারণেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পর্নতা অর্জন করেছে। তার সেই দর্শনগুলো একসঙ্গে করে পুস্তক আকারে মুদ্রিত হওয়ায় এই ইতিহাসগুলো আগামী প্রজন্ম এক জায়গা থেকে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান ও প্রাইস ওয়াটার কুপার্সের ম্যানেজিং পার্টনার মামুন রশিদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। আমাদের সবাইকে হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছেন। সুন্দর একটি বই উপহার পেলাম। আমাদের বাস্তব জীবনে বইকে কাজে লাগাতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কথাগুলো সব সময় বাংলার মানুষের ছিল।
বিশেষ অতিথি এইচ টি ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধু ওই সময় বাঙালিদের জন্য সবকিছুই করেছেন। আজকের বাংলাদেশের যে রূপ ও ব্যবস্থাপনা তার সবকিছুই বঙ্গবন্ধু করে গেছেন। এক্ষেত্রে অন্তরিক্ষে বলুন, সমুদ্রে বলুন সবকিছু নিয়েই তিনি চিন্তা করতেন। এমনকি এখনও মন্ত্রীরা যে শপথ পাঠ করেন সেটিও তিনি রচনা করেছেন। স্বাধীনতার পর কৃষকের দিকে তাকানোর পাশাপাশি তিনি বিদ্রোহও দমন করেছিলেন সেনাবাহিনী নিয়োগ করে। জাসদ নামক একটি জিনিস ওই সময় উত্থান হয়েছিল। তাদের গণবাহিনীকেও দমন করতে হয়েছিল।
এইচ টি ইমাম বলেন, কৃষি কর্মকর্তাদের মর্যাদা দেয়ার পাশাপাশি কৃষি বিজ্ঞানীদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার ফল হিসেবে আজ জমি কমলেও খাদ্যের অভাব হচ্ছে না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, এখন রপ্তানি করা হচ্ছে।
- বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়া চীন’ উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু এক জায়গায় বলেছিলেন, শোষন কাকে বলে আমি জানি কৃষকদের কাছে থেকে। কৃষকের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি সব সময় কাজ করেন। বঙ্গবন্ধু ছোটবেলায় ছিলেন ডানপিটে। সব সময় নানা বিষয়ে জানা বঙ্গবন্ধুর প্রবল ইচ্ছা ছিল। জন্মসূত্রে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কৃষকের গভীর মিল ছিল।
তিনি বলেন, আমি গবেষণা করে দেখেছি এখনো বঙ্গবন্ধুকে সম্পূর্ণভাবে চেনা হয়নি। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হয়েছিল। বাড়ির পাশ দিয়ে লুঙ্গি পরে একজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাকে ডেকে নিয়ে বাড়িতে বঙ্গবন্ধু মুরগির মাংস খাওয়ান। তিনি ছিলেন গরিব দরদি। বঙ্গবন্ধু কৃষকের মাঠে কৃষকের হাসি দেখতে চেয়েছেন। তবে এখনো কেনই বা কৃষক মাঠে হাসছে না এটা ভাবতে হবে।