আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সম্ভাবনার কথা উঠে আসে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘বে-টার্মিনাল’ নির্মাণের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) করছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হওয়ার পর অন্যান্য কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা হবে। পোর্ট অব সিঙ্গাপুর অথরিটি (পিএসএ) ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ বে-টার্মিনালের ‘২-৩টি জেটিসহ প্রথম কন্টেইনার টার্মিনাল’ নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পিএসএ কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের প্রস্তাব দেবে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক প্রাইভেট প্রকিউরমেন্ট (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে অ্যাকশন প্লান বা টাইমলাইন তৈরি করে পিএসএ’র সঙ্গে শেয়ার করবে।
হাইকমিশনার জানান, বে-টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি লজিস্টিকস খাতেও বিনিয়োগ করতে চায় সিঙ্গাপুর। বাংলাদেশ থেকে বালু আমদানির বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করবেন বলেও জানান তিনি।
সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়ান চি ফং উপস্থিত ছিলেন।