ব্যারিস্টার হুদার স্ত্রী-মেয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১০ মার্চ

আদালত প্রতিবেদক

নাজমুল হুদা দম্পতি
নাজমুল হুদা দম্পতি। ফাইল ছবি

প্রায় পৌনে সাত কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার স্ত্রী আইনজীবী সিগমা হুদা ও তার দুই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত সংস্থা দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৯ জানুয়ারি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সংস্থার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।

সিগমা হুদাকে দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার মেয়ে অন্তরা সেলিমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদাকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য  গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এক মামলার এজাহারে বলা হয়, সিগমা হুদা ও শ্রাবন্তী আমিনা হুদা অবৈধভাবে দুই কোটি ৬৭ লাখ টাকা সমমানের দুই লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন। ওই টাকা দিয়ে যুক্তরাজ্যের সারে কাউন্টির ডেনহাম রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন তারা।

অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, সিগমা হুদা ও অন্তরা সেলিমা হুদা চার কোটি ছয় লাখ টাকা সমমানের তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড যুক্তরাজ্যে পাচার করেছেন। ওই টাকা দিয়ে লন্ডনের বারউড প্লেসে ফ্ল্যাট কিনেছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে পাঠানো আড়াই লাখ পাউন্ড দিয়ে লন্ডনের ৪ হেনলি কোর্ট, দেনহাম রোডে নাজমুল হুদা দম্পতি তাদের কন্যা শ্রাবন্তী আমিনার নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেন। এ ছাড়া আরেক কন্যা অন্তরা সেলিম হুদার নামে লন্ডনের ওয়ার্টার গার্ডেনে তিন লাখ ৮০ হাজার পাউন্ডে একটি ফ্ল্যাট কিনেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ওই ছয় লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড সিগমা হুদা অবৈধভাবে পাচার করেছেন।

২০০৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার দায়েরকৃত সম্পদ বিবরণীতে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদ বিবরণীতে ফ্ল্যাট ক্রয়ের তথ্য গোপন করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে