অবশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বন্ধ কাতারের শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় শীর্ষ বাজারটি আজ বুধবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা। বর্তমানে তিনি কাতারের রাজধানী দোহাতে অবস্থান করছেন। বুধবার বাংলাদেশ সময় ৭টা ২২ মিনেটে মুঠোফোনে তিনি বলেন, আজ থেকে কাতার সরকার বাংলাদেশিদের জন্য সেদেশের শ্রমবাজার খুলে দিয়েছে। আজই একটা মিটিংয়ের মাধ্যমে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদের একান্ত সচিব আহমদ কবীর বলেন, কাতারে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য খুলে যাওয়ার সুখবরটি সচিব মন্ত্রী স্যারকে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আজ থেকে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য বাজারটি খুলে দেওয়া হয়েছে।
কাতারের শ্রমবাজার খোলার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশটি সফরে যান। সেখানে ২ ফেব্রুয়ারি সচিব শ্রমবাজার খোলা নিয়ে কাতারের শ্রমবাজার মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর দুইদিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের প্রতিনিধি দলের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রসঙ্গে সচিব সেলিম রেজা বলেন, ২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ৪ ফেব্রুয়ারি দুই দেশের প্রতিনিধি দলের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তারা আমাকে বলেছে, তোমরা বাড়ি যাবার আগেই শ্রমবাজার খুলে দেব, খুলে দিয়েছে।
দেশটিতে বাংলাদেশের কর্মীদের শ্রমবাজার বন্ধের পর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত কয়েক মাস থেকে বাজারটি খুলতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।
মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতার বাংলাদেশের অন্যতম বড় একটি শ্রমবাজার। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দেশটির শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হতে থাকে। আর সেই সঙ্কুচিত বাজার গত কয়েক মাস থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
- রোমে নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিলেন মোদি
তবে এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিল, কাতারে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বিপুলসংখ্যক কর্মীর চাহিদা কমে যেতে থাকে। আর এই প্রেক্ষাপটেই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করেছে দেশটি।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ খেলাকে সামনে রেখে কাতারের বিভিন্ন কারিগরি খাতে লোকবলের চাহিদা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই সুযোগ বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও কাজে লাগাবে। এই ইস্যুতে সেখানে বাংলাদেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।