২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাংলাদেশ ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করলেও গত এক বছরে চাকরি হারিয়েছেন ৩২ হাজার ৫৮২ জন শ্রমিক। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, রপ্তানি আদেশ না পেয়ে ৬৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের চাকরি হারাতে হয়েছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বন্ধ হওয়া ৬৩ কারখানা তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর আওতাধীন ছিল। আর নিটওয়্যার খাতের কোনো কারখানা আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ না হলেও এই এক বছরে এক হাজার ২৮০টি কারখানা ‘নিষ্ক্রিয়’ হয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এ ব্যাপারে টিপু মুনশি বলেন, বিকেএমইএর আওতাধীন ২ হাজার ২০০ কারখানার মধ্যে ৯২০টি কারখানা ২০১৯ সালে সদস্যপদ নবায়ন করেছে। অবশিষ্ট কারখানাগুলো সক্রিয় নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে। রপ্তানি আদেশ পেলে কারখানাগুলো পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাংলাদেশ ৩৪.১৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, যা ছিল মোট রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশের বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই আয়ে ভাটা পড়েছে।
জুলাই-জানুয়ারি সময়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬.২১ শতাংশ, নিট পোশাক রপ্তানি কমেছে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, আর উভেন পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।
তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এর আগে বলেছিলেন, কাজ পাওয়ার জন্য রপ্তানিকারকদের দাম কমিয়ে দেওয়াও প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার একটি কারণ।