চলতি বছর (২০২০) একুশে পদক পাচ্ছেন ২০ নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠান। বুধবার ঘোষিত ২১ জনের মধ্যে পাঁচজন মরণোত্তর পদক পাচ্ছেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠিকভাবে পদকপ্রাপ্তদের পদক তুলে দেয়া হবে।
পদক পাচ্ছেন, ভাষা আন্দোলনে মরণোত্তর মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা। শিল্পকলায় (সংগীত) বেগম ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক। শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান। শিল্পকলায় (অভিনয়) এম এম মহসীন। শিল্পকলায় (চারুকলা) অধ্যাপক শিল্পী ড. ফরিদা জামান।
মুক্তিযুদ্ধে (মরণোত্তর) মরহুম হাজি আক্তার সরদার, মরহুম আব্দুল জব্বার, মরহুম ডা. আ আ ম মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার)।
সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর)।
গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ।
শিক্ষায় অধ্যাপক ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া।
অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ভাষা ও সাহিত্যে ড. নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি। চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।
প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণায় একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনিস্টিটিউট।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদক জয়ীদের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেবেন।
একুশে পদক বাংলাদেশের একটি জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার। বাংলাদেশের বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক, ভাষাবিদ, সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদানকারী, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক প্রদান করা হচ্ছে। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সালে এই পদকের প্রচলন করা হয়।