অযোধ্যায় ভারতের সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রাম মন্দির নির্মাণের জন্য একটি ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ বুধবার ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
তিনি বলেন, আমার সরকার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র নামে একটি ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি রাম মন্দির নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।
এ সময় লোকসভার সরকারি দলের সদস্যরা ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি তোলেন। এরই মধ্যে মোদি আরও বলেন, আসুন অযোধ্যায় জাকালো রাম মন্দির নির্মাণে আমরা সবাই সমর্থন দেই।
বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি নিয়ে করা ঐতিহাসিক অযোধ্যা মামলার রায়ে নভেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিল, তা মেনেই ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আদালতের ওই রায়ে বলা হয়েছিল, অযোধ্যার বিতর্কিত পৌনে ৩ একরের ওই স্থানে মন্দির হবে, তবে তা হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। আর মসজিদের জন্য কাছাকাছি অন্য স্থানে ৫ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।
মোদি জানিয়েছে, মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডকে অযোধ্যার ওই ৫ একর জায়গা হস্তান্তরে আগ্রহী উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সুপ্রিমকোর্ট রাম মন্দির নির্মাণে ট্রাস্ট গঠনের জন্য ভারতের সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছিল। তবে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে মোদির এ ঘোষণায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিন সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে সরাসরি লোকসভায় চলে আসেন মোদি। তার পরণে ছিল ধুসর জ্যাকেট এবং গেরুয়া মাফলার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসুন আসুন, আমরা সবাই মিলে অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি করি।’ তিনি একথা বলতেই টেবিল চাপড়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি সাংসদরা।
মোদি বলেন, আমি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে স্যালুট জানাই। হিন্দু হোক, মুসলিম, শিখ, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পার্সি অথবা জৈন সবাই বৃহত্তর পরিবারের সদস্য। পরিবারের সবার জন্যই উন্নয়ন প্রয়োজন। সবাই যাতে খুশি থাকতে পারে, সেজন্য আমাদের সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মন্ত্রে চলছে।