করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য চীনে যাওয়া সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার কাতারে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণ নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
ইমরান আহমদ বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছে, চীনে এখন বাংলাদেশি কর্মীদের না যাওয়ার জন্য। রাষ্ট্রদূত বলা মানে এটা চীন সরকারের সীদ্ধান্ত। বন্ধের এই বিষয়টি আপাতত স্থগিত বলা যায়।
চীনের উহান শহরে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত দেশটিতে এবং এর বাইরে ৫৬৪ জনের প্রাণ গেছে।
চীন সরকারের পক্ষে ভাইরাসটি ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন থেকে আগতদের অন-অ্যারাইভাল ভিসা, এমনকি কিছু দেশ সব ধরনের ভিসা দেয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স চীনগামী ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও এ ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতিতে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের এ ভাইরাস ঠেকাতে আজ বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস এক নির্দেশনায় জানায়, পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কর্মরত চীনের কোম্পানিগুলো যেন স্বদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে বিরত থাকে। পাশাপাশি বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনের নাগরিকরা যেন আপাতত স্বদেশে ভ্রমণ না করেন।
এদিকে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, চীনে থাকা কোনো বাংলাদেশি নাগরিক এখন পর্যন্ত করোনোভাআরাসে আক্রান্ত হয়নি।
লি জিমিং বলেন, চীনে থাকা কোনো বাংলাদেশি এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। একইভাবে বাংলাদেশে থাকা কোনো চীনাও এই ভাইরাসে সংক্রমিত হননি।’ সেজন্য করোনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত কয়েক দিনে সাত হাজার চীনা নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে জানিয়ে বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশে আসা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আর কাউকে ভিসা দেবে না বাংলাদেশ। এ দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োজিত যারা ছুটিতে চীনে গেছেন, তাদের আপাতত ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। চীন থেকে আর কাউকে ফেরত আনা হবে না।’ দেশে কোনো কোরোনাভাইরাস রোগী নেই বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে চীনা নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িক বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণাপলয়। তবে দেশটির নাগরিকদের ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকছে না।