চীনে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চীনে আরও ৬৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এসব মৃত্যুর মধ্যে শুধু চীনের হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ৬১৮ জন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৩০ ছাড়িয়ে গেছে।
মৃত্যুর মিছিলে এই সংখ্যা যোগ হওয়ার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও। গতকাল এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজারের বেশি।
হুবেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই প্রদেশটিতেই ১৫ হাজার ৮০৪ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ৮৪১ জনের অবস্থা গুরুতর।
গতকাল বৃহস্পতিবার চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও প্রায় আড়াই হাজার জন। এখন পর্যন্ত চীনসহ সারাবিশ্বে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। বিশ্বের অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকেই গতবছরের শেষে এই ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়, যাকে বলা হচ্ছে নভেল করোনা ভাইরাস বা ২০১৯-এনসিওভি। চীনে এ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০২ সালের সার্সের প্রাদুর্ভাবকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এ ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উহানসহ বেশ কয়েকটি শহর বার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে চীন। গণপরিবহন বন্ধ রাখায় ছয় কোটি মানুষের চলাচল হয়ে পড়েছে সীমিত। কিন্তু ভাইরাস ছড়ানো ঠেকানো যাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইতোমধ্যে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করেছে।
বাংলাদেশসহ বেশ দেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিয়েছে বা নিচ্ছে। শঙ্কিত কয়েকটি দেশ তাদের সীমান্তে চীনাদের জন্য কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
- সাইবার অপরাধ রোধে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করুন: রাষ্ট্রপতি
- অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ: ইতিহাস গড়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
এদিন মারা গেছেন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেয়া চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং। ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল উহানে মারা যান তিনি। গত ১২ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে করোনা ভাইরাসের বিষয়টি ধরা পড়ে ১ ফেব্রুয়ারি। রোগীর দেহ থেকে লির শরীরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
লি ওয়েনলিয়াং সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সার্সের মতো মহামারি আকার ধারণ করতে পারে এই নতুন ভাইরাস। তবে তখন তার সে কথায় পাত্তা দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। পাল্টা তাকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে হুমকি দেয়া হয়।