রাওয়ালপিন্ডিতে পুরো এক দিনও খেলতে পারল না বাংলাদেশ!

ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ
মিঠুনই বাংলাদেশের একমাত্র হাফসেঞ্চুরিয়ান। ছবি : এএফপি

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে পুরো একটা দিনও খেলতে পারল না বাংলাদেশ দল! দিনের ৭.১ ওভার বাকি থাকতেই সফরকারীরা অল-আউট হয়েছে মাত্র ২৩৩ রানে। যে তামিম ইকবাল বিসিএলে অপরাজিত ট্রিপল সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানে গেছেন, তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ। বিসিএলে সেঞ্চুরি করে যাওয়া লিটন-মাহমুদউল্লাহ সবাই ব্যর্থ। অথচ যে মিঠুনকে নিয়ে দল ঘোষণার পর সমালোচনা হয়েছিল, সেই মিঠুনই বাংলাদেশের একমাত্র হাফ-সেঞ্চুরিয়ান। সেই দিক দিয়ে মিঠুনই একমাত্র সফল ব্যাটসম্যান। বাকিরা আসা-যাওয়ার খেলা খেলেছেন।

রাওয়ালপিন্ডিতে টস হেরে সাদা পোশাকে খেলতে নেমে সেই পুরনো রূপে দেখা দেয় বাংলাদেশ দল। দলীয় ৩ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর অভিষিক্ত সাইফ হাসান। ভারত সফরে না থাকা তামিমের দলে প্রত্যাবর্তনটা সুখকর হলো না। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেন মাত্র ৩ রানে। অন্যদিকে অভিষিক্ত সাইফের ভাগ্য খারাপ। ‘ডাক’ মেরে বিবর্ণ হলো তার অভিষেক। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়েছেন আসাদ শফিকের হাতে।

universel cardiac hospital

অথৈ সমুদ্রে পড়া দলকে নতুন আশা দেখান অধিনায়ক মুমিনুল হক আর নাজমুল হোসেন শান্ত। তাদের জুটিতে আসে ৫৯ রান। দুজনেই যখন উইকেটে সেট হয়ে গেছেন, তখনই ছন্দপতন। শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ৫৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩০ রান করা মুমিনুল। ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর শান্তর সঙ্গী হন মাহমুদউল্লাহ। জুটিতে ৩৩ রান আসতেই ১১০ বলে ৪৪ রান করা শান্ত মোহাম্মদ আব্বাসের শিকার হয়ে ফিরে যান। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৩৭তম ওভার বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে।

তবে আর ৭ রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শাহিন আফ্রিদির তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে তার সংগ্রহ ২৫ রান। উইকেটে লিটন দাস আসার পর দ্রুত ঘুরতে থাকে রানের চাকা। কিন্তু নিজের ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারননি বিপিএলে দুর্দান্ত খেলা লিটন দাস। হারিস সোহেলের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে তার ৭ চারে ৩৩ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসটির মৃত্যু হয়। রিভিউ নিয়ে লিটনকে ফেরায় পাকিস্তান। এরপর উইকেটে দৃঢ়তা দেখান মোহাম্মদ মিঠুন আর তাইজুল। এই জুটিতে আসে ৫৪ রান। হারিস সোহেলের দ্বিতীয় শিকার ৭২ বলে ২৪ রান করা তাইজুল ইসলাম।

একসময় ভাবা হচ্ছিল, হয়তো পুরো দিনটা শেষ করবে বাংলাদেশ। কিন্তু কোথায় কী? ১ রান করে শাহিন আফ্রিদির চতুর্থ শিকার রুবেল হোসেন। এরপরেই নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে নাসিম শাহর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১৪০ বলে ৬৩ রান করা মিঠুন। বাংলাদেশের ইনিংসের একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান তিনি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রাহকও বটে। যদিও মিঠুনের আউট নিয়ে কিছুটা বিতর্কও আছে। রান-আউটে আবু জায়েদ (০) বিদায় হলে ৮২.৫ ওভারে ২৩৩ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। ৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২টি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ আব্বাস আর হারিস সোহেল।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে