রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ গতিকে ত্বরান্বিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যকর ভূমিকা পালন করবে নগরবাসী তা প্রত্যাশা করে।
ডিএমপি’র ৪৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ডিএমপি’র সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্-এ বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ-সহ বিভিন্ন সময়ে দেশের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক বীর পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সর্ববৃহৎ ইউনিট ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই ইউনিটের সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ডিএমপি’র সদস্যরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ট্রাফিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, নারী ও শিশুবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা কার্যকর করা-সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রদানে ডিএমপি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। ভবিষ্যতেও রাজধানীবাসীকে প্রত্যাশিত সেবা প্রদানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরন্তর প্রয়াস অব্যাহত রাখবে- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।