নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় গ্রেফতার হওয়া আসামিকে দেখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার দায়ে সদর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে আটকের ৫ ঘণ্টা পর মুচলেকায় মুক্তি পেয়েছে।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সুপারিশে তাদের জিম্মায় ভাইস চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনিরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় একটি মারামারি মামলায় নারীসহ ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করার পর সেই আসামির পক্ষ নিয়ে থানায় যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের নেত্রী ফাতেমা মনির। তখন ফাতেমা মনির থানার ভেতর প্রবেশ করে পুলিশের কাছে জানতে চায় কেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে করে ফাতেমা মনির পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার ঘটনায় পুলিশ ফাতেমা মনিরকে আটক করে।
এদিকে ফাতেমা মনিরকে আটক করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা থানায় ছুটে যায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম এবং এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। তারা ওসি আসলাম হোসেনের সঙ্গে বসে ফাতেমা মনিরের আটকের ঘটনার বিষয় শোনেন এবং পুলিশের সঙ্গে ফাতেমা মনিরের অশোভন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পরে ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় ওসি সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে ফাতেমা মনিরের মুচলেকা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জিম্মায় ছেড়ে দেন।
- কেন্দ্রীয়ভাবে ৩ স্তরে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা
- সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই বাংলাদেশি
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ফাতেমা মনির একজন জনপ্রতিনিধি। উনি যেকোনো বিষয়ে থানায় আসতেই পারেন। ওনার পরিচিত ব্যক্তিদের পুলিশ গ্রেফতার করায় উনি থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত না জেনে পুলিশের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। যার কারণে ফাতেমা মনিরকে আটক করা হয়েছিল। সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হওয়ায় এমন ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে। উনাকে মুচলেকায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
