কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি তার কোটি কোটি ভক্তদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি। এখনো মানুষের হৃদয়ে অমলিন হয়ে আছেন তিনি। আজ তার ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করেছেন ভালোবাসার মানুষেরা। ফেসবুকে আবেগঘন নানা পোস্ট দিয়ে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রিয় এই অভিনেতাকে।
প্রিয় মানুষদের হৃদয়ে রয়ে গেছেন তিনি। তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো আজ তাকে ঘিরে নেই তেমন কোনো আয়োজন। অভিনয় জগতের এই কিংবদন্তিকে তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে যেখানে বড় চলচ্চিত্র উৎসব হওয়ার কথা, সেখানে আজ শুধুই শূন্যতা। যেসব মানুষদের নিয়ে চর্চা করলে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়, তাদের নিয়ে আজ বড় কোনো আয়োজন করার কেউ নেই!
যে কোনো শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করে থাকেন। চলচ্চিত্র চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য জয় চৌধুরী জানালেন, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও দোয়ার আয়োজন করেছে। বিগত বছরে এই মাসে যেসব শিল্পীরা না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে হবে এই আয়োজন।
অভিনয়ের জাদুকর হুমায়ুন ফরীদি মঞ্চ থেকে চলচ্চিত্র- অভিনয়ের সবখানে তিনি রাজত্ব করেছেন দুর্দান্ত প্রতাপে।
মঞ্চ থেকে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন হুমায়ুন ফরীদি। এরপর টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র জয় করেছেন । ‘৯০-এর দশকে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো- ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্বপ্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আসামী বধূ’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’, ‘প্রবেশ নিষেধ’, ‘ভণ্ড’, ‘অধিকার চাই’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘ব্যাচেলর’, ‘শ্যামল ছায়া’ ও ‘মেহেরজান’ প্রভৃতি।
সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করে। জীবন্ত ফরীদি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি নিজের হাতে না পেলেও, ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
- আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ব্যারিস্টার সুমনের পদত্যাগ
- উপ-নির্বাচন : তাপসের আসনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন শফিউল
সৃজনশীল কর্মযজ্ঞের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মাতৃত্ব’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা শাখায় ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন হুমায়ুন ফরীদি। নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করে। জীবন্ত ফরীদি তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের স্বীকৃতি নিজের হাতে না পেলেও, ২০১৮ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি।
ব্যক্তি জীবনে সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিঃসঙ্গই ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মারা যান হুমায়ুন ফরীদি।