ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চীন থেকে ফিরতে ইচ্ছুক ১৭১ শিক্ষার্থীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। এর আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকার তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনবে না।
রবিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চীন থেকে যেসব শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চায় আমরা তাদের দেশে নিয়ে আসব।
চীনের উহান শহরে ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের কারণে সেখান থেকে সরকারি খরচে ৩১২ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি। তাদের ছাড়া আরও ১৭১ শিক্ষার্থী দেশটির অন্য একটি প্রদেশে অবস্থান করছে। ৩১২ শিক্ষার্থীকে ফেরানোর পর সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে চীনে থাকা শিক্ষার্থীদের সরকার ফেরাবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, সরকারের অনেক টাকা খরচ হয়েছে ৩১২ জনকে দেশে আনতে। বাকিদের সরকার ফেরাবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সরকারের ফান্ডে টাকার অভাব নেই।
সকালে চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চীনকে সবধরনের সহায়তা করা হবে। বিশেষ করে মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজারসহ কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস বাংলাদেশ থেকে চীনে পাঠানো হবে।
করোনা ভাইরাস শনাক্তে দুই দিনের মধ্যে বাংলাদেশকে ৫০০ কিট দেওয়া হবে বলে জানান চীনের রাষ্ট্রদূত।
করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৬৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার।