মেয়াদ বাড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে ফজলে কবিরের। আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত তাকে গভর্নর পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. অলিউর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর অর্ডার ১০(৫) অনুযায়ী আগামী ২০ মার্চ ২০২০ অথবা যোগদানের তারিখ থেকে তার বয়স ৬৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত (আগামী ৩ জুলাই ২০২০) তার পূর্বের চুক্তি ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে পুনরায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিপত্রের শর্তাবলী অপরিবর্তিত রেখে পুনরায় সরকারের সাথে চুক্তিপত্র সম্পাদন করতে হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করলে পরদিন ১৬ মার্চ ফজলে কবিরকে চার বছরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১তম গভর্নর হিসেবে যোগদান করেন ফজলে কবির। সেই হিসাবে চলতি বছরের ২০ মার্চ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ফজলে কবিরের। কিন্তু পুনরায় নিয়োগ পাওয়ায় আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত তিনি গভর্নর পদে বহাল থাকবেন।
- ঘুষের অভিযোগ থেকে এসকে সিনহাকে অব্যাহতি
- ‘ভারতের বৈধ নাগরিক হওয়ার চেয়ে বাংলাদেশে কীট হওয়া বেশি আকর্ষণীয়’
- ‘কারিগরি প্রশিক্ষণে আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হবে’
মুন্সীগঞ্জের সন্তান ফজলে কবির ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ক্যাডারে যোগদানের মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে ১৯৮৩ সালে তিনি প্রশাসন সার্ভিসে যোগ দেন। ৩৪ বছরের দীর্ঘ চাকরি জীবনে ফজলে কবির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ ও মাঠপর্যায়ের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কাজ করেন জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি এবং বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে মহাপরিচালক হিসেবেও। ২০১২ সালে অর্থসচিব হিসেবে যোগদানের আগে তিনি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ফজলে কবির ২০০৮ সালে জাতিসংঘের ফিন্যান্স এবং বাজেট কমিটির সেশনে বাংলাদেশ ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দেন।