ফরিদপুরে একটি বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রী মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়েছিল আর স্বামীকে ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় ওড়না পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় ঘরের দরজা ভেঙে লাশ দুটি উদ্ধার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মৃত স্বামী রাজীব বিশ্বাস (৩৪) আর স্ত্রী স্মৃতি বণিক (২২)। তারা দুজনই গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী এলাকার বাসিন্দা। স্মৃতি বণিক মুকসুদপুরের বাটিকামারী এলাকার খোকন বণিকের মেয়ে। তবে রাজীবের বাবার নাম জানা যায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দুই বছর আগে ফরিদপুরের লঞ্চঘাটা এলাকার মো. বরকাতের একতলা পাকা বাড়িটি ভাড়া নেন তারা। বরকতের বাড়িটি লঞ্চঘাট এলাকায় কুমার নদের পূর্ব পাড় সংলগ্ন। রাজীব একটি কলেজে শিক্ষকতা করতেন বলে প্রাথমিক খবরে জানা গেছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার কথা তারা শুনেছেন। দুপুর ও বিকাল পর্যন্ত রাজীব ও স্বপ্না যে বাড়িতে থাকেন সে বাড়ির প্রতিটি দরজা ও জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যায় ওই বাড়ির কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা ঘরের জানলা বাইরে থেকে খুলে দেখতে পান রাজীবের শরীর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে এবং স্বপ্না একই কক্ষে শয্যায় পড়ে আছেন। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।
স্বপ্নার এক আত্মীয় গোপাল পোদ্দার জানান, দুই বছর আগে রাজীব ও স্বপ্না নিজেদের পছন্দমত বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা ফরিদপুর শহরে এসে থাকতে থাকেন। তাদের কোনো সন্তান নেই।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজীবের লাশ এবং শয্যায় পড়ে থাকা অবস্থায় স্বপ্নার লাশ উদ্ধার করে। তিনি বলেন, যে ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় সেটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল।
মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো এবং এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।