১৭১ শিক্ষার্থীকে দেশে না ফেরানোর পরামর্শ দিল চীনা রাষ্ট্রদূত

মত ও পথ প্রতিবেদক

১৭১ শিক্ষার্থীকে দেশে না ফেরানোর পরামর্শ চীনা রাষ্ট্রদূতের

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আঁতুরঘর চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে না আনার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তিনি বলেছেন, ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের দেশে না ফেরানোই ভালো হবে।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ‘ডিক্যাব’ আয়োজিত ‘ডিক্যাব টকে’ রাষ্ট্রদূত এই পরামর্শ দেন।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরা সংক্রমণের ঝুঁকি আছে। আমি চাই না বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ুক। ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে তাদের দেশে না ফেরানোই ভালো হবে।

চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে শহরটি থেকে ৩১২ বাংলাদেশিকে সরকারি উদ্যোগে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এরপর প্রদেশটির বিভিন্ন শহরে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে এতে করে সরকারের সমালোচনা আসে বিভিন্ন মহল থেকে।

সরকারের পূর্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চীনের হুবেই প্রদেশে থাকা ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কবে নাগাদ তাদের ফিরিয়ে আনা হবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলেননি তিনি।

গত বছরের শেষের দিকে উহান শহর থেকে শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৭৫ জনে। দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের বিস্তার কমাতে হুবেই প্রদেশে চলাফেরার ওপর নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে চীন সরকার।

করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের বিকল্প বাজার না খোঁজার অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে অন্য দেশে ব্যবসা স্থানান্তর হবে ব্যয়বহুল, অসম্ভব এবং অপ্রয়োজনীয়।

এ সময় চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে যেসব মেগা প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলোর কাজ ব্যাহত হতে পারে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

করোনাভাইরাস নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে জানিয়ে লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার চীনে হলেও এখন পর্যন্ত এই রোগের উৎস যে চীনে, সেটা তো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তারপরও পশ্চিমা গণমাধ্যম এই রোগকে মেড ইন চায়না বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারই এখানে মূল ভূমিকা পালনকারী, চীন নয়। তবে এই সমস্যার সমাধানে চীন দুই দেশকেই সহায়তা করছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি আঙ্গুর রাহার মন্টি এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে