বিরল ফ্লুতে যুক্তরাষ্ট্রে নিশ্চুপে ১০ হাজার মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইনফ্লুয়েঞ্জা

চলতি মৌসুমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিরল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চীনের হুবেই থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই খবর অনেকটাই চাপা পড়ে ছিল।

সম্প্রতি বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করার পর দেশটির বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত দুই লাখ মানুষ ফ্লু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজ জানিয়েছে।

universel cardiac hospital

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেশন (সিডিসি) জানিয়েছে, বর্তমানে করোনাভাইরাস নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় সংকট। কিন্তু মার্কিনিদের মধ্যে করোনা বিস্তারের সম্ভাবনা অনেক কম। বর্তমানে করোনায় ১৪ মার্কিনি আক্রান্ত। তাদেরকে কোরেন্টাইন করে রাখা হয়েছে।

ইউএস নিউজ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লু’য়ে আক্রান্তের ঘটনা সবার অগোচরেই রয়ে গেছে। ফ্লু থেকে আরোগ্য লাভের জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা সম্ভব না। ভ্যাকসিন গ্রহণ স্বত্ত্বেও ফ্লু থেকে বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ৪০ থেকে ৬০ ভাগ।

যুক্তরাষ্ট্র

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে অন্তত ১৯ লাখ মার্কিন নাগরিক বিরল এই ফ্ল’য়ে আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় দুই লাখ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার। নিহতদের মধ্যে ৬৮ শিশুও রয়েছে।

ফ্লু’য়ের কারণে উদ্বিগ্ন মার্কিন চিকিৎসক স্কট ওয়েজেনবার্গ জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা শনাক্ত করা সহজ। তাস্বত্ত্বেও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফ্লু থেকে দ্রুত নিস্তারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ ফ্লু এখনও সক্রিয় আছে।

তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভয়াবহ ভাইরাসের আকার ধারণ করছে। সাধারণত ষাটোর্ধ্ব, গর্ভবতী নারী, শিশুদেরই এই রোগে আক্রান্তের হার বেশি। এছাড়া ডায়বেটিস, অ্যাজমা, ক্যানসার, এইচআইভি/এইডস এবং হৃদরোগে আক্রান্তরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

সিডিসি বলছে, চলতি বছর অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় হাসপাতালে শিশু, তরুণ ও বয়স্কদের ভর্তির হার অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে তরুণরা।

গত মৌসুমে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে মুক্তির জন্য ৪৫ ভাগ বয়স্ক ৬৩ ভাগ শিশু ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে বলে স্বাস্থ্য এবং জনসেবা মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি অ্যালেক্স আজহার জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে