দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় গ্রেডিং পদ্ধতির যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছিল তা চলতি শিক্ষাবর্ষে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে মিলিয়ে পুরোনো পদ্ধতি জিপিএ-ফাইভের পরিবর্তে পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ মান জিপিএ-ফোর নির্ধারণ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেএসসি পর্যন্ত গ্রেডিং পদ্ধতিতে আর কোনো প্রভেদ থাকবে না। চলতি মাসেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, চলতি ২০২০ শিক্ষাবর্ষে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা থেকে নতুন গ্রেডিং পদ্ধতি কার্যকর করা হবে। ২০২১ সাল থেকে এসএসসি-সমমান ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৪ কার্যকর করা হবে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ৫ পয়েন্টের গ্রেডিং পদ্ধতির বদলে ৪ পয়েন্ট চালু করার কথা সরকার ভাবছে বলে বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ মান জিপিএ ৪ চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর হবে আভাস দিয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গ্রেড পরিবর্তন-সংক্রান্ত একটি সভার আয়োজন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিজিপিএ-৪ এর সঙ্গে সমন্বয় করে নিচের স্তরের সব পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৪ করার পক্ষেই মত আসে।
ওই সভায় নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে জিপিএ-৫ এর স্থানে জিপিএ-৪ নির্ধারণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কাঠিন্যের স্তর, মার্কিংয়ের গুণগত মান ইত্যাদি পরিবর্তন হচ্ছে না। আগের পদ্ধতিতে খাতা মূল্যায়ন ও নম্বর বণ্টন করা হবে।
- করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২১২০, আক্রান্ত ৭৬ হাজার
- রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
নতুন গ্রেডিং পদ্ধতিতে জেএসসি-জেডিসি, এসএসসি-সমমান, এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় নম্বরের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ মান নির্ধারণ হয়েছে জিপিএ-৪। এ ক্ষেত্রে ৯০-১০০ পর্যন্ত এ প্লাস জিপিএ-৪, ৮০-৮৯ পর্যন্ত ‘এ’ জিপিএ-৩.৫, ৭০-৭৯ ‘বি’ প্লাস জিপিএ-৩, ৬০-৬৯ ‘বি’ জিপিএ-২ দশমিক ৫, ৫০-৫৯ ‘সি’ প্লাস জিপিএ-২, ৪০-৪৯ ‘সি’ জিপিএ-১ দশমিক ৫, ৩৩-৩৯ ‘ডি’ জিপিএ-১ এবং শূন্য থেকে ৩২ ‘এফ’ গ্রেড জিপিএ-০ বা ফেল নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে সনাতন পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়ার পরিবর্তে গ্রেড পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০০৩ সালে সর্বোচ্চ ৫ সূচকের (পয়েন্ট বা স্কেল) ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়।