মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আজ শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশে ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানী কুয়ালালামপুরে দূতাবাস কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ করেন হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম। হাইক্মিশন চত্ত্বরে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রবাসী সংগঠন পুষ্পাঞ্জলি অর্পন করে। অতঃপর ভাষা শহীদদের স্মরণে নিরবতা পালন এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের বাণী পাঠ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডিফেন্স এডভাইজার কমোডর মুসতাক আহমেদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার ও দূতালয় প্রধান মিস ওয়াহিদা আহমেদ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড এ কে আবদুল মোমেনের বাণী পাঠ করেন মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, কাউন্সেলর (শ্রম) । পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন মোঃ মশিউর রহমান তালুকদার, কাউন্সেলর (পাসপোর্ট এন্ড ভিসা) এবং সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের বাণী পাঠ করেন মোঃ রাজিবুল আহসান, কাউন্সেলর (কমার্সিয়াল)।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম ও জীবন দেওয়ার ইতিহাস একমাত্র গর্বিত বাঙ্গালি জাতির আছে। এই ভাষা সংগ্রামের অর্জনেই লুকিয়ে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙ্গালি অর্জন করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ভাষা সংগ্রামের রক্তাক্ত অধ্যায় একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বর্তমানে তাঁরই নেতৃত্বে ইতিহাস আর ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি আজ দৃশ্যমান। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
- আরও পড়ুন >> অনেকেই যথাযথ উচ্চারণে বাংলা বলতে পারে না, তাদের কী বলব?
- আরও পড়ুন >> কোহলিসহ ৪ ভারতীয় খেলবেন মুজিববর্ষের টি-টোয়েন্টি সিরিজে
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পরিবার ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির নেতা রেজাউল করিম রেজা, ওহিদুর রহমান ওহিদ, কামরুজ্জামান কামাল, রাশেদ বাদল,এ কামাল হোসেন চৌধুরী, হুমায়ুন কবির, নুর মোহাম্মদ ভুইয়া, হুমায়ুন কবির আমির, সাখাওয়াত হোসেন, আ: বাতেন । মালয়েশিয়াস্থ প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।