ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, ভুল তথ্য প্রচারসহ নানা কেলেঙ্কারির ফলে তলানিতে পৌঁছেছে ফেসবুকের ওপর ব্যবহারকারীদের আস্থা। অনেকে আবার সময় বেশি নষ্ট হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ওপর ত্যক্ত-বিরক্ত। এসব কারণেই একবার বিশ্বজুড়ে ‘ডিলিট ফেসবুক’ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। আপনিও যদি তাঁদের একজন হয়ে থাকেন, তবে চাইলে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চিরতরে মুছে ফেলতে পারেন। আগে শুধু নিষ্ক্রিয় (ডিঅ্যাকটিভ) করে রাখার সুবিধা থাকলেও এখন স্থায়ীভাবেই মুছে ফেলা যায়।
আপনি যদি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছতে চান তবে এখানে কয়েকটি বিষয় লক্ষণীয়:
১. অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার অনুরোধ করার পর ফেসবুক কিছুদিন সময় নেয় প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে। আপনি যদি সে সময়ের মধ্যে লগ-ইন করেন, তবে প্রক্রিয়াটি বাতিল হয়ে যাবে।
২. আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি একবার মুছে গেলে আপনি পুনরায় তা ফেরত পাবেন না।
৩. ব্যাকআপ সিস্টেমে জমা থাকা আপনার তথ্য মুছতে ৯০ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
৪. মুছে ফেলার বদলে আপনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করে রাখতেও পারেন।
৫. আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করার অর্থ লোকেরা আপনার ফেসবুক প্রোফাইল দেখতে বা আপনাকে খুঁজতে পারবে না। কিছু তথ্য অন্যান্য ব্যবহারকারীদের কাছে দৃশ্যমান থাকতে পারে (যেমন আপনি যে বার্তাগুলো পাঠিয়েছেন)। ফেসবুক আপনার অ্যাকাউন্টটি পুনরায় সক্রিয় করার ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য সংরক্ষণ করবে।
স্থায়ীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে চাইলে
আপনি যদি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে চান তবে (https://www.facebook.com/help/delete_account) ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Delete Account’ অপশনটি নির্বাচন করুন। অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার আগে আপনি আপনার ফেসবুকের তথ্য নামাতে পারবেন। এটি করতে প্রথমে ‘ডাউনলোড ইনফো’ বোতামে ক্লিক করুন। যে ফাইলটি ডাউনলোড শুরু হবে, তাতে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য থাকবে, তাই আপনি এই ডেটাগুলো কোথায় রাখবেন, সে সম্পর্কে খুব সাবধানতা অবলম্বন করুন।
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করতে চাইলে
আপনার আইডিটি নিষ্ক্রিয় করতে একই ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘Deactive Account’ অপশনটি নির্বাচন করতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় করার পরে পুনরায় সক্রিয় করতে, কেবল নিজের ই-মেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আবার আপনার আইডিতে লগ-ইন করুন। সূত্র: ট্রাস্টেড রিভিউস
- আরও পড়ুন >> চীনে গাড়ির বাজারে ধস: বিক্রি কমেছে ৯২ শতাংশ