ইতালিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৯ জন। অপরদিকে দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, এই ভাইরাস যেন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার জরুরি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী গিউসেপে কন্তে। দুই নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই জরুরি পদক্ষেপ জারি করা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলীয় লম্বার্ডি এবং ভেনেতোর ডজনখানেক শহরকে কার্যকরীভাবে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু শহরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে বাড়িতেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। লোকজনকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কন্তে বলেন, যেসব এলাকায় এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছে সেখান থেকে কেউ অন্য কোথাও যেতে পারবে না এবং অন্য কোনো এলাকা থেকে আক্রান্ত এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। তবে বিশেষ অনুমতির ক্ষেত্রে এই ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আক্রান্ত এলাকার সব স্কুল এবং খেলাধুলার সব কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর চীনের বাইরে আরও অনেক দেশেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
- নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে পোস্টার ঝুলবে না, মাইক বাজবে না : ইসি
- দলীয় পদ বাগিয়ে অভিজাত এলাকায় পাপিয়ার পতিতা ও মাদক ব্যবসা
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৬২ জন। এর মধ্যে শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই মারা গেছেন ২ হাজার ৪৪২ জন। বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৭২৪ জন।
শনিবার এ ভাইরাসে হুবেই প্রদেশেই একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯৬ জনের। সবমিলিয়ে হুবেই প্রদেশে করোনায় ২ হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।