বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে (২৩ ফেব্রুয়ারি, রোববার) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার জামিন শুনানি রয়েছে। আমরা আশা করব, প্রত্যাশা করব যে, বিচার বিভাগ তারা তাদের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবেন এবং সত্যিকার অর্থে মামলার যে রায় হওয়া উচিত সেই রায় দেবেন।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। তাই আসুন এ পরাধীন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অবৈধ দখলদার সরকারকে বাধ্য করি এ দেশের মানুষের কথা শুনবার জন্য। দেশের মানুষের চোখের ভাষা বোঝার জন্য এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
তিনি বলেন, এ সরকারের কোনো অধিকার নেই ক্ষমতায় থাকার। এখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিলে দেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান হবে বলে আমরা আশা করছি।
ফখরুল বলেন, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষক এবং যার সহধর্মিণী যুদ্ধচলাকালীন সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার ছিলেন, সেই নেত্রীর মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর মানববন্ধন করতে হচ্ছে। এর চাইতে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। যে মানুষটি একজন গৃহবধূ ছিলেন, তিনি জাতীর প্রয়োজনে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে নেমে স্বৈরাচারের পতন করে এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিলেন। আজকে সেই নেত্রী কারাগারে বন্দি। এর চাইতে বড় লজ্জা আর কিছু হতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ মামলায় জামিন তার (খালেদা জিয়া) হক। তাকে আটকে রাখার কোনো আইনি বিধান নেই। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে কারাগারে আটকা রাখা হয়েছে। এ রকম মামলায় নাজমুল হুদা জামিনে আছেন, আপনাদের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জামিনে আছেন, মহিউদ্দিন আলমগীর জামিনে আছেন। আর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যিনি গণতন্ত্রের মা সেই দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছেন।
- মানি লন্ডারিং মামলায় খালেদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি আজ
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের জায়গা দেয়া হয় না সমাবেশ করার। আজকের এ সমাবেশটি করার কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। সেদিন আমাদের সমাবেশ করতে দেয়া হয় নাই। আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি কি এর জন্যই? প্রতিবাদ করতে পারব না, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারব না। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের সেই চরিত্র নয়। বাংলাদেশের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে, সবসময় সংগ্রাম করেছে, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, শ্রমিক নেতা আবুল খায়ের খাজা, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল কবির মজুমদার, অর্থ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।