খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু

আদালত প্রতিবেদক

খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ২টায় শুরু হয় শুনানি।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি হবে বলে দিন নির্ধারণ করেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ  সকালে সময় ধার্য করা হয় দুপুর ২টা।

universel cardiac hospital

এ উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের মাজার গেইটের প্রবেশপথে তল্লাশি করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মানুষকে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি দিনের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।

জামিন আবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে তথা যুক্তরাজ্যের মতো দেশে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করা হয়। গতকাল সকালে আদালতে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

গতকাল জামিন আবেদন উপস্থাপনের সময় আদালত খন্দকার মাহবুব হোসেনকে প্রশ্ন করে বলেন, এটা কী? জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন। এ সময় আদালত বলেন, এই আদালতে এসেছেন কেন? এর আগে আমরা জামিনের আবেদন খারিজ করেছি। এরপর আপনারা আপিল বিভাগে গেলেন। আপিল বিভাগও আমাদের আদেশ বহাল রেখেছেন। এর পরও কেন এসেছেন?

জবাবে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, একবার খারিজ হলে নতুন গ্রাউন্ডে বারবার আসতে আইনে তো বাধা নেই। সে সুযোগ তো রয়েছে। তিনি (খালেদা জিয়া) গুরুতর অসুস্থ। তাঁর অবস্থার অবনতি হয়েছে। এরপর আদালত আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ৩০ এপ্রিল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এরপর জামিনের আবেদনের ওপর এ আদালতে শুনানি হয়।

শুনানি শেষে গত বছর ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ওই খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর ১৪ নভেম্বর আপিল করেন খালেদা জিয়া। এ আবেদন গত বছর ১২ ডিসেম্বর খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এই খারিজের রায় প্রকাশিত হয় গত ১৯ জানুয়ারি। এ অবস্থায় নতুন করে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে