যারা গৃহহীন তাদের প্রত্যেককে ঘর করে দেয়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতেও সম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ রোববার বিকালে ডেভলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম আব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
ডিজেএফবির আয়োজনে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংগঠনের সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন , উইমেন এন্টারপ্রেনারস নেটওয়ার্ক ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ওয়েন্ড) প্রেসিডেন্ট ড. নাদিয়া বিনতে আমিন প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার রেখে যাওয়া কাজ সম্পন্ন করছেন। উন্নয়নের যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছেন, তিনি যে কাজ করতে পারেননি, সেই কাজ সম্পন্ন করছেন। আমাদের স্বপ্ন ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্কে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোনমিক রিসার্চ বলেছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের উপরে যাব। এই যে আমাদের অর্জনগুলো, দেশের সব মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সংসদে প্রথম আসি তখন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি রাখা হয়েছিল কৃষকের জন্য। সেখানে আরও কিছু সামাজিক নেট রাখা হয়েছিল। এটা তখন আমাদের মতো দেশের জন্য ছিল খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত। এবার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন যাদের আবাসনের ব্যবস্থা নেই, ঘরবাড়ি নেই তাদের জন্য আবাসন তৈরি করে দেবেন। তিনি সবাইকে ঘরের ব্যবস্থা করবেন। এটা আমেরিকাতেও সম্ভব নয়, গোটা ইউরোপেও সম্ভব নয়।
ডিজেএফবি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা অত্যন্ত দক্ষ, দীর্ঘদিন আপনাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। আপনাদের এ যাত্রা শুভ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক, দেশের মানুষকে বিকশিত করুক, এটাই আমাদের দোয়া।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ডিজেএফবি সম্পর্কে বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে কদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেয়া হবে।
- ঢাকা-১০ আসনে লেমিনেটেড পোস্টারে নিষেধাজ্ঞা, মাইকে কড়াকড়ি
- শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী শাকিল ৩ দিনের রিমান্ডে
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম ও এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।