কফ হলো গলার অস্বস্তিকর পিচ্ছিল পদার্থ। গলার গ্ল্যান্ডগুলো দিনে প্রায় এক থেকে দুই লিটার কফ তৈরি করে। শ্বাসনালি কোনো কারণে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফ তৈরি করলে আমরা গলায় অস্বস্তিকর কফের অনুভুতি পাই। কফ হলো কাশি সৃষ্টির জন্য অন্যতম একটি কারণ।
এর দ্রুত চিকিৎসা না হলে এটি দ্বারা শ্বাসযন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই সর্দি, কফ দূর করা যায় সহজেই। আসুন তাহলে দেরি না করে জেনে নিই কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে সর্দি কফ দূর করা যায়।
আদা
এটি পাত্রে পানি নিয়ে এক টেবিল চামচ আদা কুচি মেশান। এবার এটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিন। বলক আসলে এতে সামান্য মধু দিয়ে দিন। দিনে তিনবার এই পানীয়টি পান করুন।
এছাড়া এক চা চামচ আদা কুচি, গোল মরিচের গুঁড়ো, এবং লবঙ্গের গুঁড়ো দুধ অথবা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিনে তিনবার পান করুন। এক টুকরো আদা নিয়ে মুখে চাবাতে পারেন। আদার রস বুকের কফ সরিয়ে ফেলে আরাম দেয়।
হলুদ
হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান বুক থেকে কফ সরিয়ে ফেলে। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুক ব্যথা দূর করে।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করুন। এছাড়া এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিন। এর সঙ্গে দুই চা চামচ মধু এবং এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়ো মেশান। এই দুধ দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন।
লবণ পানি
লবণ শ্বাসযন্ত্র থেকে কফ দূর করে দেয়। বুকের সর্দি, কফ দূর করতে সহজ এবং সস্তা উপায় হল লবণ পানি।
এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুই/তিনবার কুলকুচি করুন।
লেবু এবং মধু
লেবু পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। মধু শ্বাসযন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
গলার কফ সরাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দারুন কাজ করে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয় দিনে তিনবার পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে।
পেঁয়াজ
আধা কাপ পেঁয়াজের রস, আধা কাপ লেবুর রস, মধু আধা কাপ এবং একই পরিমাণ পানি একসঙ্গে চুলায় জ্বাল দিন। কিছুটা গরম হলে নামিয়ে ফেলুন। কুসুম এই পানি দিনে তিন পান করুন আরাম পাবেন।