মিরপুর টেস্ট : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতল বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ টেস্ট দল
ফাইল ছবি

টানা ৬ ম্যাচে ব্যর্থতার পর এবার জয়ের দেখা পেলে সাদা জার্সির টাইগাররা। মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চতুর্থদিনের সমাপ্তির আগেই জয় তুলে নেয় মুমিনুল-মুশফিকরা। সবশেষ ৬ টেস্টের ৫ টিতেই ইনিংস ব্যবধানে হারা বাংলাদেশ এবার প্রতিপক্ষকেই হারালো ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে।

মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংস হার এড়াতে করতে হবে ২৯৬ রান, তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে ৫ ওভার ব্যাট করে ৯ রান তুলতেই নাইম হাসানের স্পিন ঘূর্ণিতে হারায় ২ উইকেট। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটাও নিজেদের দখলে নেয় টাইগার বোলাররা। দিনের পঞ্চম ওভারেই তাইজুলের শিকার হয়ে ফেরেন কেভিন কাসুজা। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি জিম্বাবুইয়ান এই ব্যাটসম্যান।

universel cardiac hospital

অভিজ্ঞ ব্রেন্ডল টেইলর হতে পারতেন ক্রেইগ আরভিনদের ত্রাণকর্তা। কিন্তু ১৭ রান করে নাইম হাসানের বলে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে ক্যাচ দেন তাইজুল ইসলামকে। ৪৪ রানে ৪ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক আরভিন ও সিকান্দার রাজা। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান। ৪৯ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৩ রান করে আরভিন রান আউটে কাটা পড়লে ভাঙে জুটি। লাঞ্চের আগে বাকি সময় অবশ্য নিরাপদেই কাটান সিকান্দার রাজা ও টিমিসেন মারুমা।

৫ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া জিম্ববাউয়ে লাঞ্চের পর দ্রুতই হারায় সিকান্দার রাজার উইকেট। তাইজুল ইসলামের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ৩৭ রান। তার বিদায়ের কিছুটা লড়াই করেন টিমিসেন মারুমা ও রেজিস চাকাভা। দুজনে মিলে ৭ম উইকেটে যোগ করেন ৪৪ রান। তাইজুল ইসলামের তৃতীয় শিকার হয়ে চাকাভা (১৮) ফিরলে ভাঙে জুটি।

এরপর বেশিক্ষণ টিকেনি সফরকারীদের ইনিংস। নাইম হাসানের পঞ্চম শিকার হয়ে মারুমা বিদায় নেন ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান করে। ৫৮ তম ওভারের করা তাইজুলের তৃতীয় বলটিতে শুমা এলবিডব্লিউর শিকার হলে ১৮৯ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ পায় টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ব্যবধানে জয়।

এটি টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশের ১৪ তম জয়, ইনিংস ব্যবধানে ২য় জয়, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ম জয়। অধিনায়ক মুমিনুল হকের অধীনে বাংলাদেশের ১ম জয়ও এটি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ১০৬.৩ ওভারে ২৬৫/১০ (মাসভাউরে ৬৪, কাসুজা ২, আরভিন ১০৭, টেলর ১০, রাজা ১৮, মারুমা ৭, চাকাভা ৩০, তিরিপানো ৮। আবু জায়েদ ২৪-৬-৭১-৪, নাঈম ৩৮-৯-৭০-৪, তাইজুল ২৭.৩-১-৯০-২)।

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৫৪ ওভারে ৫৬০/৬ (ইনিংস ঘোষণা) (তামিম ৪১, শান্ত ৭১, মুমিনুল ১৩২, মুশফিক ২০৩*। লিটন ৫৩, তাইজুল ১৪*; তিরিপানো ৩০-৬-৯৬-১, নিয়ুচি ২৭-৩-৮৬-১, রাজা ৩০-২-১১১-১, শুমা ২৫-২-৮৫-১, দলুভু ৪২-৪-১৭০-২)।

জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৫৭.৩ ওভারে ১৮৯/১০ (মাসভাউরে ০, কাসুজা ১০, তিরিপানো ০, টেলর ১৭, আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১, চাকাভা ১৮, দলুভু ৪, শুমা ৩, নিয়ুচি ৭*। নাঈম ২৪-৬-৮২-৫, তাইজুল ২৪.৩-৭-৭৮-৪, আবু জায়েদ ৪-৩-৪-০, এবাদত ৫-১-১৬-০)।

ফলাফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মুশফিকুর রহীম

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে