যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার অপকর্ম নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃৃত্ব নিয়ে সর্বত্র প্রশ্ন ওঠেছে।
সরকারি দল আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল ২০০৪ সালে এ সংগঠনের জন্মলগ্ন থেকেই এর নেতৃত্বে রয়েছেন। পাপিয়াকাণ্ড প্রকাশের পর থেকেই যুব মহিলা লীগের দুই শীর্ষ নেতা নাজমা আকতার ও অপু উকিল দলীয় পদ হারাচ্ছেন কি না তা নিয়ে সব মহলে আলোচনা চলছে। তাদের নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ দুজনের ওপর সাধারণ নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাদের নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ে আলোচনা চলছে। বিষয়টি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়কে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য এরই মধ্যে পাপিয়াকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে, যুব মহিলা লীগকে শিগগিরই ঢেলে সাজানো হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নাজমা আক্তার ও অপু উকিলেরও অন্য দুই সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মতো ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে।
এর আগে ক্যাসিনোকাণ্ডে সমালোচিত হয়ে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওমর ফারুক চৌধুরীকে। একই ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জি কে শামীমসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের পদ ছাড়তে হয় রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে।
একই অভিযোগে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার ও সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ পদ হারান। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই যুব মহিলা লীগের ১২১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি নাজমা আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল।